পরিচ্ছেদঃ ১৪২৬. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ তাদের অংশ দিয়ে দিবে (৪:৩৩)।
بَاب
الْكَفَالَةِ فِي الْقَرْضِ وَالدُّيُونِ بِالْأَبْدَانِ وَغَيْرِهَا
وَقَالَ
أَبُو الزِّنَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيِّ عَنْ
أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ بَعَثَهُ مُصَدِّقًا فَوَقَعَ رَجُلٌ
عَلَى جَارِيَةِ امْرَأَتِهِ فَأَخَذَ حَمْزَةُ مِنْ الرَّجُلِ كَفِيلًا حَتَّى
قَدِمَ عَلَى عُمَرَ وَكَانَ عُمَرُ قَدْ جَلَدَهُ مِائَةَ جَلْدَةٍ فَصَدَّقَهُمْ
وَعَذَرَهُ بِالْجَهَالَةِ وَقَالَ جَرِيرٌ وَالْأَشْعَثُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ
مَسْعُودٍ فِي الْمُرْتَدِّينَ اسْتَتِبْهُمْ وَكَفِّلْهُمْ فَتَابُوا
وَكَفَلَهُمْ عَشَائِرُهُمْ وَقَالَ حَمَّادٌ إِذَا تَكَفَّلَ بِنَفْسٍ فَمَاتَ
فَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ وَقَالَ الْحَكَمُ يَضْمَنُ قَالَ أَبُو عَبْد اللَّهِ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ
بْنِ هُرْمُزَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ ذَكَرَ رَجُلًا مِنْ بَنِي
إِسْرَائِيلَ سَأَلَ بَعْضَ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنْ يُسْلِفَهُ أَلْفَ دِينَارٍ
فَقَالَ ائْتِنِي بِالشُّهَدَاءِ أُشْهِدُهُمْ فَقَالَ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا
قَالَ فَأْتِنِي بِالْكَفِيلِ قَالَ كَفَى بِاللَّهِ كَفِيلًا قَالَ صَدَقْتَ
فَدَفَعَهَا إِلَيْهِ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى فَخَرَجَ فِي الْبَحْرِ فَقَضَى
حَاجَتَهُ ثُمَّ الْتَمَسَ مَرْكَبًا يَرْكَبُهَا يَقْدَمُ عَلَيْهِ لِلْأَجَلِ
الَّذِي أَجَّلَهُ فَلَمْ يَجِدْ مَرْكَبًا فَأَخَذَ خَشَبَةً فَنَقَرَهَا
فَأَدْخَلَ فِيهَا أَلْفَ دِينَارٍ وَصَحِيفَةً مِنْهُ إِلَى صَاحِبِهِ ثُمَّ
زَجَّجَ مَوْضِعَهَا ثُمَّ أَتَى بِهَا إِلَى الْبَحْرِ فَقَالَ اللَّهُمَّ
إِنَّكَ تَعْلَمُ أَنِّي كُنْتُ تَسَلَّفْتُ فُلَانًا أَلْفَ دِينَارٍ فَسَأَلَنِي
كَفِيلَا فَقُلْتُ كَفَى بِاللَّهِ كَفِيلًا فَرَضِيَ بِكَ وَسَأَلَنِي شَهِيدًا
فَقُلْتُ كَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا فَرَضِيَ بِكَ وَأَنِّي جَهَدْتُ أَنْ أَجِدَ
مَرْكَبًا أَبْعَثُ إِلَيْهِ الَّذِي لَهُ فَلَمْ أَقْدِرْ وَإِنِّي
أَسْتَوْدِعُكَهَا فَرَمَى بِهَا فِي الْبَحْرِ حَتَّى وَلَجَتْ فِيهِ ثُمَّ
انْصَرَفَ وَهُوَ فِي ذَلِكَ يَلْتَمِسُ مَرْكَبًا يَخْرُجُ إِلَى بَلَدِهِ
فَخَرَجَ الرَّجُلُ الَّذِي كَانَ أَسْلَفَهُ يَنْظُرُ لَعَلَّ مَرْكَبًا قَدْ
جَاءَ بِمَالِهِ فَإِذَا بِالْخَشَبَةِ الَّتِي فِيهَا الْمَالُ فَأَخَذَهَا لِأَهْلِهِ
حَطَبًا فَلَمَّا نَشَرَهَا وَجَدَ الْمَالَ وَالصَّحِيفَةَ ثُمَّ قَدِمَ الَّذِي
كَانَ أَسْلَفَهُ فَأَتَى بِالْأَلْفِ دِينَارٍ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا زِلْتُ
جَاهِدًا فِي طَلَبِ مَرْكَبٍ لِآتِيَكَ بِمَالِكَ فَمَا وَجَدْتُ مَرْكَبًا
قَبْلَ الَّذِي أَتَيْتُ فِيهِ قَالَ هَلْ كُنْتَ بَعَثْتَ إِلَيَّ بِشَيْءٍ قَالَ
أُخْبِرُكَ أَنِّي لَمْ أَجِدْ مَرْكَبًا قَبْلَ الَّذِي جِئْتُ فِيهِ قَالَ
فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَدَّى عَنْكَ الَّذِي بَعَثْتَ فِي الْخَشَبَةِ فَانْصَرِفْ
بِالْأَلْفِ الدِّينَارِ رَاشِدًا
১৪২৫. পরিচ্ছেদঃ ঋণ ও দেনার ব্যাপারে দেহ এবং অন্য কিছুর যামিন হওয়া।
আবূ যিনাদ (রহঃ) মুহাম্মদ ইব্ন হামযা ইব্ন আমর আসলামী (রহঃ) এর মধ্যমে তার পিতা
থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর (রাঃ) তাকে সাদকা উশুলকারী
নিযুক্ত করে পাঠান। সেখানে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর দাসীর সাথে ব্যভিচার করে বসল। তখন
হামযা (রহঃ) কিছু লোককে তার পক্ষ হতে যামিন স্থির করলেন। পরে তিনি উমর (রাঃ) এর নিকট
ফিরে আসলেন। উমর (রাঃ) উক্ত লোকটিকে একশ’ বেত্রাঘাত করলেন এবং লোকদের বিবরণকে সত্য
বলে গ্রহণ করেন। তারপর লোকটি তার অজ্ঞতার জন্য (স্ত্রী দাসীর সাথে যৌন সম্ভোগ করা যে
অবৈধ তা সে জানত না) অব্যাহতি দেন। জারীর ও আশআশ (রহঃ) মুরতাদ-ধর্মচ্যুত ব্যক্তিদের
সম্পর্কে আবদুল্লাহ [ইব্ন মাসউদ (রাঃ)]-কে বলেন, তাদেরকে তাওবা করতে বলুন এবং তাদের পক্ষ হতে কাউকে যামিন গ্রহণ
করুন। ধর্মচ্যুতরা তাওবা করল এবং তাদের গোত্রের লোকেরা তাদের যামিন হয়ে গেল।
হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি যামিন হওয়ার
পর মৃত্যুবরণ করে তবে সে দায়মুক্ত হয়ে যাবে। হাকাম (রহঃ) বলেন, তার উপর দায়িত্ব থেকে যাবে
(অর্থাৎ ওয়ারিশদের উপর সে দায়িত্ব
বর্তাবে)। লায়স (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
বনী ইসরাঈলের কোন
এক ব্যক্তি বনী ইসরাঈলের অপর এক ব্যক্তির নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইল। তখন সে (ঋণ
দাতা) বলল, কয়েকজন সাক্ষী আন, আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখব।
সে বলল, সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
তারপর (ঋণ দাতা) বলল, তাহলে একজন যামিনদার উপস্থিত
কর। সে বলল, যামিনদার হিসাবে আল্লাহ্ই
যথেষ্ট। ঋণদাতা বলল, তুমি সত্যই বলেছ। এরপর নির্ধারিত
সময়ে পরিশোধের শর্তে তাকে এক হাজার দীনার দিয়ে দিল।
তারপর ঋণ গ্রহীতা সামুদ্রিক সফর করল এবং তার প্রয়োজন সমাধা করে সে যানবাহন খুঁজতে
লাগল, যাতে সে নির্ধারিত সময়ের ভেতর
ঋণদাতার কাছে এসে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু সে কোন যানবাহন পেল না। তখন সে এক টুকরো কাঠ
নিয়ে তা ছিদ্র করল এবং ঋণদাতার নামে একখানা পত্র ও এক হাজার দীনার তার মধ্যে ভরে ছিদ্রটি
বন্ধ করে সমুদ্র তীরে এসে বলল, হে আল্লাহ্! তুমি তো জান আমি অমুকের নিকট এক হাজার দীনার ঋণ চাইলে সে আমার কাছে
যামিনদার চেয়েছিল। আমি বলেছিলাম, আল্লাহ্ই যামিন হিসাবে যথেষ্ট। এতে সে রাযী হয়। তারপর সে আমার কাছে সাক্ষী চেয়েছিল, আমি বলেছিলাম সাক্ষী হিসাবে
আল্লাহ্ই যথেষ্ট, তাতেও সে রাযী হয়ে যায়। আমি
তার ঋণ (যথাসময়য়ে) পরিশোধের উদ্দেশ্যে যানবাহনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আমি তোমার
নিকট সোপর্দ করলাম, এই বলে সে কাষ্ঠখণ্ডটি সমুদ্রে
নিক্ষেপ করল। আর কাষ্ঠখণ্ডটি সমুদ্রে প্রবেশ করল।
অতঃপর লোকটি ফিরে গেল। এবং নিজের শহরে যাওয়ার জন্য যানবাহন খুঁজতে লাগল। ওদিকে
ঋণদাতা এই আশায় সমুদ্রতীরে গেল যে, হয়তবা ঋণগ্রহীতা কোন নৌযানে করে তার মাল নিয়ে এসেছে। তার দৃষ্টি
কাষ্ঠখণ্ডটির উপর পড়ল, যার ভিতরে মাল ছিল। সে কাষ্ঠখণ্ডটি
তার পরিবারের জ্বালানির জন্য বাড়ী নিয়ে গেল। যখন সে তা চিরল, তখন সে মাল ও পত্রটি পেয়ে
গেল। কিছুদিন পর ঋণগ্রহীতা এক হাজার দীনার নিয়ে এসে হাযির হল। এবং বলল, আল্লাহ্র কসম আমি আপনার মাল
যথাসময়ে পৌঁছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে সব সময় যানবাহনের খোঁজে ছিলাম। কিন্তু আমি যে নৌযানে
এখন আসলাম, তার আগে আর কোন নৌযান পাইনি।
ঋণদাতা বলল, তুমি কি আমার নিকট কিছু পাঠিয়েছিলে? ঋণগ্রহীতা বলল, আমি তো তোমাকে বললামই যে এর
আগে আর কোন নৌযান আমি পাইনি। সে বলল, তুমি কাঠের টুকরোর ভিতরে যা পাঠিয়েছিলে, তা আল্লাহ্ তোমার পক্ষ হতে
আমাকে আদায় করে দিয়েছেন। তখন সে আনন্দচিত্তে এক হাজার দীনার নিয়ে ফিরে চলে এল।
________________________________________
২১৪৫। সালত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, وَلِكُلٍّ جَعَلْنَا مَوَالِيَ আয়াতে مَوَالِيَ শব্দের অর্থ উত্তরাধিকারী।
আরوَالَّذِينَ
عَقَدَتْ أَيْمَانُكُمْ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে তিনি [ইবনু আব্বাস (রাঃ)] বলেন, মদিনায় মুহাজিরদের নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আগমনের পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাজির
ও আনসারদের মধ্যে যে ভাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন করেন, তার ভিত্তিতে মুহাজিররা আনসারদের উত্তরাধিকারী হত, কিন্তু আনসারদের আত্মীয়-স্বজনরা
ওয়ারিস হত না। যখনوَلِكُلٍّ
جَعَلْنَا مَوَالِيَ এ আয়াত নাযিল হল, তখনالَّذِينَ عَقَدَتْ আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেল।
তারপর তিনি আরো বলেন উপরোক্ত আয়াতের প্রেক্ষিতে মুহাজির ও আনসারদের পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা
ও আদেশ-উপদেশের হুকুম বাকী রয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য মীরাস বা উত্তরাধিকার স্বত্ব রহিত
হয়ে গেছে। অবশ্য তাদের জন্য ওসীয়াত করা যেতে পারে।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৬. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ তাদের
অংশ দিয়ে দিবে (৪:৩৩)।
২১৪৬। কুতায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ)
যখন আমাদের নিকট (মদিনায়) আসেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ও সাদ ইবনু রাবী’ এর মধ্যে
ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক স্থাপন করেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৬. আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ তাদের
অংশ দিয়ে দিবে (৪:৩৩)।
২১৪৭। মুহাম্মদ ইবনু সাব্বাহ (রহঃ) ... আসিম (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার নিকট কি এ হাদীস পৌঁছেছে
যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসলামে হিলফ (জাহেলী যুগের সহযোগিতা চুক্তি) নেই? তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে কুরায়শ এবং আনসারদের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি সম্পাদন করেছিলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৭. যদি কোন ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির ঋণের যামানত গ্রহণ করে, তবে তার এ দায়িত্ব প্রত্তাহারের
ইখতিয়ার নেই। হাসান (র.) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
২১৪৮। আবূ আসিম (রহঃ) ... সালামা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর কাছে সালাতে জানাযা আদায়ের জন্য একটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তখন নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগণ বললেন, না। তখন তিনি তার জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তারপর
আরেকটি জানাযা উপস্থিত করা হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তার কি কোন ঋণ আছে? সাহাবীগন বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমাদের সাথীর সালাত জানাযা তোমরাই আদায় করে নাও। আবূ কাতাদা
(রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তার ঋণের
দায়-দায়িত্ব আমার উপর। তখন তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৭. যদি কোন ব্যক্তি কোন মৃত ব্যক্তির ঋণের যামানত গ্রহণ করে, তবে তার এ দায়িত্ব প্রত্তাহারের
ইখতিয়ার নেই। হাসান (র.) এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
২১৪৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, যদি বাহরাইনের মাল এসে যায়
তাহলে আমি তোমাকে এতো এতো দেব। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত
পর্যন্ত বাহরাইনের মাল এসে পৌঁছায়নি। পরে যখন বাহরাইনের মাল পৌঁছল, আবূ বকর (রাঃ)-এর আদেশে ঘোষণা
করা হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর নিকট যার অনুকূলে কোন প্রতিশ্রুতি বা ঋণ রয়েছে সে যেন আমার নিকট আসে। আমি তার নিকট
গিয়ে বললাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমাকে এতো এতো দিবেন বলেছিলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) আমাকে এক অঞ্জলী ভরে দিলেন, আমি তা গননা করলাম এতে পাঁচ
শ’ ছিল। তারপর তিনি বললেন,
এর দ্বিগুণ নিয়ে নাও।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৮. নবী (ﷺ)-এর যুগে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) কর্তৃক (মুশরিকদের) নিরাপত্তা দান
এবং তার চুক্তি সম্পাদন।
২১৫০। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর
সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে দিন থেকে আমার জ্ঞান হয়েছে সে দিন থেকেই আমি আমার পিতা-মাতাকে দ্বীনের অনুসারী
হিসাবেই পেয়েছি। আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আবূ সালিহ্ (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যেদিন থেকে আমার জ্ঞান হয়েছে
সেদিন থেকেই আমি আমার পিতা,
মাতাকে দ্বীন ইসলামের
অনুসারী রূপে পেয়েছি এবং আমাদের এমন কোন দিন যায়নি, যে দিনের দু’ প্রান্ত সকাল-সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট আসেন নি। যখন মুসলিমগন কঠিন বিপদের সম্মুখীন হলেন তখন
আবূ বকর (রাঃ) হাবাশা (আবিসিনিয়া) অভিমুখে হিজরতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। যখন তিনি
বারকূল গিমাদ নামক স্থানে এসে পৌঁছলেন তখন ইবনু দাগিনা তার সাথে সাক্ষাত করল। সে ছিল
কা’রা গোত্রের নেতা।
সে বলল, হে আবূ বকর! আপনি কোথায় যেতে
ইচ্ছা করেছেন? আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমার গোত্র আমাকে বের করে
দিয়েছে, তাই আমি ইচ্ছা করেছি যে, দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবো আর
আমার প্রতিপালকের ইবাদত করব। ইবনু দাগিনা বলল, আপনার মত লোক বেরিয়ে যেতে পারে না এবং আপনার মত লোককে বহিষ্কার
করাও চলে না। কেননা আপনি নিঃস্বকে সাহায্য করেন, আত্মীয়তার বন্ধনকে রক্ষা করেন, অক্ষমের বোঝা নিজে বহন করেন, মেহমানদারী করেন এবং দুর্যোগের
সময় মানুষকে সাহায্য করেন। আমি আপনার আশ্রয়দাতা। কাজেই আপনি মক্কায় ফিরে চলুন এবং নিজ
শহরে গিয়ে আপন প্রতিপালকের ইবাদত করুন।
তারপর ইবনু দাগিনা আবূ বকর (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এল। সে কাফির কুরায়শদের যারা
নেতা তাদের সাথে সাক্ষাত করল এবং তাদেরকে বলল, আবূ বকর (রাঃ) এর মত লোক বেরিয়ে যেতে পারে না এবং তার মত লোককে
বহিষ্কার করাও চলে না। আপনারা কি এমন একজন লোককে বহিষ্কার করতে চান, যে নিঃস্বকে সাহায্য করে, আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে, অক্ষমের বোঝা নিজে বহন করে, মেহমানের মেহমানদারী করে এবং
দুর্যোগের সময় মানুষকে সাহায্য করে। আবূ বকর (রাঃ) কে ইবনু দাগিনার আশ্রয় প্রদান কুরায়শরা
মেনে নিল এবং তারা আবূ বকর (রাঃ)-কে নিরাপত্তা দিয়ে ইবনু দাগিনাকে বলল, আপনি আবূ বকরকে বলে দিন, তিনি যেন নিজ বাড়ীতে তাঁর
প্রতিপালকের ইবাদত করেন, সেখানে যেন সালাত (নামায/নামাজ)
আদায় করেন এবং যা ইচ্ছা তা যেন পড়েন। এ ব্যাপারে তিনি যেন আমাদেরকে কোন কষ্ট না দেন
এবং তিনি যেন প্রকাশ্যে সালাত ও তিলাওয়াত না করেন। কেননা, আমরা আশংকা করছি যে, তিনি (প্রকাশ্যে এ সব করে)
আমাদের স্ত্রী-পুত্রদের ফিতনায় লিপ্ত না করেন।
ইবনু দাগিনা এসব কথা আবূ বকর (রাঃ) কে বলল। আবূ বকর (রাঃ) নিজ বাড়ীতেই তাঁর প্রতিপালকের
ইবাদত করতে থাকেন, নিজ বাড়ী ছাড়া অন্য কোথাও
প্রকাশ্যে সালাত আদায় এবং কুরআন তিলাওয়াত করতেন না। কিছুদিন পর আবূ বকর (রাঃ) এর মনে
অন্য এক খেয়াল উদয় হল। তিনি নিজ ঘরের আংগিনায় একটি মসজিদ বানালেন এবং বেরিয়ে এসে সেখানে
সালাত আদায় ও কুরআন তিলাওয়াত করতে লাগলেন। ফলে মুশরিকদের স্ত্রী-পুত্ররা তাঁর কাছে
ভিড় জমাতে লাগল। তাদের কাছে তা ভাল লাগত এবং তাঁর প্রতি তারা তাকিয়ে থাকত। আবূ বকর
(রাঃ) ছিলেন অতি ক্রন্দনশীল ব্যাক্তি। যখন তিনি কুরআন তিলাওয়াত করতেন তখন অশ্রু সংবরণ
করতে পারতেন না।
এতে কুরাইশদের নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিরা ঘাবড়িয়ে গেল। তারা ইবনু দাগিনাকে ডেকে পাঠাল।
সে তাদের কাছে আসার পর তারা তাকে বলল, আমরা তো আবূ বকর (রাঃ)-কে এই শর্তে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিয়েছিলাম
যে, তিনি নিজ গৃহে তাঁর প্রতিপালকের
ইবাদত করবেন। কিন্তু, তিনি তা লংঘন করে নিজ গৃহের
আংগিনায় মসজিদ বানিয়েছেন এবং (তাতে) প্রকাশ্যভাবে সালাত আদায় ও কুরআন তিলাওয়াত করেছেন।
এতে আমাদের ভয় হচ্ছে যে, তিনি আমাদের স্ত্রী-পুত্রদের
ফিতনায় লিপ্ত করবেন। কাজেই আপনি তাঁকে গিয়ে বলুন, তিনি যদি নিজ গৃহে তাঁর প্রতিপালকে ইবাদত সীমাবদ্ধ রাখতে চান
তবে তিনি তা করতে পারেন। আর যদি তিনি অস্বীকার করেন এবং প্রকাশ্যে এসব করতে চান তবে
আপনি তাঁকে বলুন, তিনি যেন আপনার যিম্মাদারী
ফিরিয়ে দেন। কেননা আমরা যেমন আপনার সাথে আমাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ পছন্দ করি না, তেমনি আবূ বকর (রাঃ) প্রকাশ্যে
ইবাদাত করাটা মেনে নিতে পারি না।
‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, তারপর ইবনু দাগিনা আবূ বকর
(রাঃ) এর নিকট এসে বলল, যে শর্তে আমি আপনার যিম্মাদারী
নিয়ে ছিলাম, তা আপনার জানা আছে। হয়ত আপনি
সে শর্তের উপর সীমাবদ্ধ থাকুন, নয়ত আমার যিম্মাদারী আমাকে ফেরত দিন। কেননা, কোন ব্যাক্তির সাথে আমি নিরাপত্তার চুক্তি করার পর আমার পক্ষ
থেকে তা ভঙ্গ করা হয়েছে, এমন একটা কথা আরব জাতি শুনতে
পাক তা আমি আদৌ পছন্দ করি না। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি আপনার যিম্মাদারী ফেরত দিচ্ছি এবং আল্লাহর আশ্রয় লাভেই আমি
সন্তুষ্ট। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় ছিলেন। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মুসলিমগণকে) বললেন, আমাকে (স্বপ্নযোগে) তোমাদের হিজরতের স্থান দেখান হয়েছে। আমি
খেজুর বৃক্ষে পরিপূর্ণ একটি কংকরময় স্থান দেখলাম, যা’ দু’টি প্রান্তরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এ কথা বললেন, তখন যারা হিজরত করার সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন, তাদের কেউ কেউ মদিনার দিকেই
হিজরত করলেন। আর যারা আবিনিসিয়ায় হিজরত করছিলেন তাদের কেউ কেউ মদিনার দিকে ফিরে গেলেন।
আবূ বকর (রাঃ)-ও হিজরতের জন্য তৈরি হলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তাঁকে বললেন, আপনি অপেক্ষা করুন। কেননা, আমি নিশ্চিতভাবে আশা করছি
যে, আমাকেও হিজরতের অনুমতি দেয়া
হবে। আবূ বকর (রাঃ) বললেন,
আমার পিতা আপনার জন্য
উৎসর্গ হোক, আপনি কি আশা করেন যে, আপনিও অনুমতি পাবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন আবূ বকর (রাঃ)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গী হওয়ার উদ্দেশ্যে নিজেকে (আবিসিনিয়ায়
হিজরত থেকে) বিরত রাখলেন এবং তাঁর নিকট যে দু’টি উট ছিল, তাদেরকে চার মাস ধরে বাবলা
গাছের পাতা খাওয়াতে থাকলেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৮. নবী (ﷺ)-এর যুগে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) কর্তৃক (মুশরিকদের) নিরাপত্তা দান
এবং তার চুক্তি সম্পাদন।
২১৫১। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকাইর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যখন কোন ঋণী ব্যাক্তির জানাযা উপস্থিত করা হত তখন তিনি জিজ্ঞাসা
করতেন, সে তার ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত
মাল রেখে গেছে কি? যদি তাঁকে বলা হত যে, সে তার ঋণ পরিশোধের মত মাল
রেখে গেছে তখন তার জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। নতুবা বলতেন, তোমাদের সাথীর জানাযা আদায়
করে নাও। পরবর্তীতে যখন আল্লাহ তাঁর বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন, তখন তিনি বললেন, আমি মু’মিনদের জন্য তাদের
নিজের চাইতেও অধিক নিকটবর্তী। তাই কোন মু’মিন ঋণ রেখে মারা গেলে সে ঋণ পরিশোধ করার
দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যাক্তি সম্পদ রেখে যায়, সে সম্পদ তার ওয়ারিসদের জন্য।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৯. বণ্টন ইত্যাদির ক্ষেত্রে এক শরীক অন্য শরীকের ওয়াকীল হওয়া। নবী
(ﷺ) তাঁর হজ্জের কুরবানীর
পশুতে আলী (রা.)-কে শরীক করেন। পরে তা বণ্টন করে দেওয়ার আদেশ দেন।
২১৫২। কাবীসা (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কুরবানীকৃত উটের গলার মালা ও
তার চামড়া দান করার হুকুম দিয়েছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪২৯. বণ্টন ইত্যাদির ক্ষেত্রে এক শরীক অন্য শরীকের ওয়াকীল হওয়া। নবী
(ﷺ) তাঁর হজ্জের কুরবানীর
পশুতে আলী (রা.)-কে শরীক করেন। পরে তা বণ্টন করে দেওয়ার আদেশ দেন।
২১৫৩। আম্র ইবনু খালিদ (রহঃ) ... উকবা ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন
যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাঁকে কিছু বকরী (ভেড়া) সাহাবীদের মধ্যে বণ্টন করতে দিলেন। বণ্টন করার পর
একটি বকরীর বাচ্চা বাকী থেকে যায়। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবহিত
করেন। তখন তিনি বললেন, তুমি নিজে এটাকে কুরবানী করে
দাও।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩০. দারুল হার্ব বা দারুল ইসলামে কোন মুসলিম কর্তৃক দারুল হারবে বসবাসকারী
অমুসলিমকে ওয়াকিল বানানো বৈধ।
২১৫৪। আবদুল আযীয ইব্ন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইব্ন আওফ (রাঃ) থেকে
বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমাইয়া ইব্ন খালফের সঙ্গে
এ মর্মে একটা চুক্তিনামা করলাম যে, সে মক্কায় আমার মাল-সামান হিফাযত করবে আর আমি মদিনায় তার মাল-সামান
হিফাযত করব। যখন আমি চুক্তিনামায় আমার নামের শেষে রাহমান’ শব্দটি উল্লেখ করলাম তখন
সে বলল, আমি রাহমানকে চিনি না। জাহেলী
যুগে তোমার যে নাম ছিল সেটা লিখ। তখন আমি তাতে আবদু আম্র লিখে দিলাম।
বদর যুদ্ধের দিন যখন লোকজন ঘুমিয়ে পড়ল তখন আমি উমাইয়াকে রক্ষা করার জন্য একটি পাহাড়ের
দিকে গেলাম। বিলাল (রাঃ) তাঁকে দেখে ফেললেন। তিনি দৌড়ে গিয়ে আনসারীদের এক মজলিশে বললেন, এই যে উমাইয়া ইব্ন খাল্ফ।
যদি উমাইয়া বেঁচে যায়, তবে আমার বেঁচে থাকায় লাভ
নেই। তখন আনসারীদের এক দল তার সাথে আমাদের পিছে পিছে ছুটল। যখন আমার আশংকা হল যে, তারা আমাদের নিকট এসে পড়বে, তখন আমি উমাইয়ার পুত্রকে তাদের
জন্য পিছনে রেখে এলাম, যাতে তাদের দৃষ্টি তার উপর
পড়ে। তারা তাকে হত্যা করল। তারপরও তারা ক্ষান্ত হল না, তারা আমাদের পিছু ধাওয়া করল।
উমাইয়া ছিল স্থুলদেহী। যখন আনসারীরা আমাদের কাছে পৌঁছে গেল, তখন আমি তাকে বললাম, বসে পড়। সে বসে পড়ল। আমি তাকে
বাঁচানোর জন্য আমার দেহখানা তাকে আড়াল করে রাখলাম। কিন্তু তারা আমার নীচে দিয়ে তরবারি
ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলল। তাদের একজনের তরবারির আঘাত আমার পায়েও লাগল। রাবী বলেন, ইব্ন আউফ (রাঃ) তাঁর পায়ের
সে আঘাত আমাদেরকে দেখাতেন। আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, ইউসুফ (রহঃ) সালিহ্ (রহঃ)
থেকে এবং ইবরাহীম (রহঃ) তার পিতা থেকে রিওয়ায়াত শুনেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩১. সোনা-রূপার ক্রয়-বিক্রয়ে ও ওযনে বিক্রয়যোগ্য বস্তুসমূহের ওয়াকীল
নিয়োগ। উমর ও ইব্ন উমর (রা.) সোনা-রূপার ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে ওয়াকিল নিয়োগ করেছিলেন।
২১৫৫। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাইদ খুদরী ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে
বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক সাহাবীকে খায়বারের শাসক নিয়োগ করলেন। তিনি বেশ কিছু উন্নতমানের
খেজুর তাঁর নিকটে নিয়ে আসলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খায়বারের সব খেজুরই কি এরকম? তিনি বললেন, ‘আমরা দু’ সার বদলে এর এক
সা কিনে থাকি কিংবা তিন সার বদলে দু’ সা কিনে থাকি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বললেন, এরূপ কর না। মিশ্রিত খেজুর
দিরহাম নিয়ে বিক্রি কর। তারপর এ দিরহাম দিয়েই উন্নতমানের খেজুর ক্রয় কর। ওযনে বিক্রয়যোগ্য
বস্তুসমূহের ব্যাপারেও তিনি অনুরূপ বলেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩২. যখন রাখাল অথবা ওয়াকিল দেখে যে, কোন বকরী মারা যাচ্ছে অথবা কোন জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন সে তা যবেহ্ করে দিবে
এবং যে জিনিসটা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, সে জিনিসটাকে ঠিক করে দেবে।
২১৫৬। ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) ... ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার কতকগুলো ছাগল-ভেড়া ছিলো, যা সাল্’ নামক স্থানে চরে বেড়াতো। একদিন আমাদের এক দাসী দেখল
যে, আমাদের ছাগল-ভেড়ার মধ্যে একটি
ছাগল মারা যাচ্ছে। তখন সে একটা পাথর ভেঙ্গে তা দিয়ে ছাগলটাকে যবেহ্ করে দিল। কা’ব
তাদেরকে বলেন, তোমরা এটা খেয়ো না, যে পর্যন্ত না আমি নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করে আসি অথবা কাউকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর নিকট জিজ্ঞাসা করতে পাঠাই। তিনি (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তা খাওয়ার
হুকুম দিয়েছিলেন। উবায়দুল্লাহ্ বলেন, এ কথাটা আমার কাছে খুব ভালো লাগল যে, দাসী হয়েও সে ছগলটাকে যবেহ্
করলো।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৩. উপস্থিত ও অনুপস্থিত ব্যক্তিকে ওয়াকীল নিয়োগ করা জায়িয। আবদুল্লাহ্
ইব্ন আমর (রা.) তাঁর পরিবারের ওয়াকীলকে লিখে পাঠান, যেন সে তাঁর ছোট-বড় সকলের তরফ থেকে সাদকায়ে ফিত্র আদায় করে
দেয়, অথচ সে অনুপস্থিত ছিল।
২১৫৭। আবূ নু’আঈম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন এক ব্যাক্তির একটি বিশেষ বয়সের উট পাওনা ছিলো। সে পাওনার জন্য
আসলে তিনি সাহাবীদেরকে বললেন, তার পাওনা দিয়ে দাও। তারা সে উটের সমবয়সী উট অনেক খোঁজাখুঁজি করলেন। কিন্তু তা
পেলেন না। কিন্তু তার থেকে বেশী বয়সের উট পালেন। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, তাই দিয়ে দাও। তখন লোকটি বলল, আপনি আমার প্রাপ্য পুরোপুরি
আদায় করেছেন, আল্লাহ আপনাকেও পুরোপুরি প্রতিদান
দিন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ঠিক মত ঋণ পরিশোধ করে সেই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যাক্তি।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৪. ঋণ পরিশোধ করার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
২১৫৮। সুলায়মান ইবনু হার্ব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পাওনার জন্য তাগাদা দিতে এসে রূঢ় ভাষায় কথা বলতে লাগল। এতে
সাহাবীগন তাকে শায়েস্তা করতে উদ্যত হলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। কেননা, পাওনাদারদের কড়া কথা বলার
অধিকার রয়েছে। তারপর তিনি বললেন, তার উটের সমবয়সী একটি উট তাকে দিয়ে দাও। তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ এটা নেই।
এর চাইতে উত্তম উট রয়েছে। তিনি বললেন, তাই দিয়ে দাও। তোমাদের মধ্যে সেই সর্বোৎকৃষ্ট, যে ঋণ পরিশোধের বেলায় উত্তম।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৫. কোন ওয়াকীলকে অথবা কোন সম্প্রদায়ের সুপারিশকারীকে কোন বস্তু হিবা
কড়া জায়িয। কেননা নবী (ﷺ) হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দলকে যখন তারা গনীমতের মাল ফেরত চেয়েছিল
বলেছিলেন, আমি আমার অংশটা তোমাদেরকে
দিয়ে দিচ্ছি।
২১৫৯। সাঈদ ইবনু উফাইর (রহঃ) ... মারওয়ান ইবনু হাকাম ও মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি
দল যখন ইসলাম গ্রহণ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এলেন, তখন তিনি উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিনিধি
দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাদের ধন-সম্পদ ও বন্দী ফেরত চাইলেন।
তখন তিনি বললেন, আমার নিকট সত্য কথাই অধিকতর
পছন্দনীয়। কাজেই তোমরা দু’টোর মধ্যে একটা বেছে নাও- হয় বন্ধী, নয় ধন-সম্পদ। আমি তো এদের
আগমনের অপেক্ষায়ই প্রতীক্ষমাণ ছিলাম। (বর্ণনাকারী বলেন) তায়িফ থেকে প্রত্যাবর্তন করে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ রাতেরও বেশী তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।
যখন (প্রতিনিধি দল) বুঝতে পারলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’টোর মধ্যে একটি
ফেরত দেবেন, তখন তারা বললেন, আমরা আমাদের বন্ধীদেরকে গ্রহণ
করছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমগণের মাঝে দাঁড়িয়ে আল্লাহ
পাকের যথাযথ প্রশংসা করে বললেন, তোমাদের এই ভাইয়েরা তাওবা করে আমার কাছে এসেছে এবং আমার অভিপ্রায় এই যে, আমি তাদের বন্দীদের ফেরত দেই।
কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যাক্তি নিজ খুশিতে স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হয়ে ফেরত দিতে চায়, সে দিক। আর তোমাদের মধ্যে
যে এর বিনিময় গ্রহণ পছন্দ করে, আমরা সেই গনীমতের মাল থেকে তা দেবো যা আল্লাহ প্রথম আমাদের দান করবেন। সে তা করুক
অর্থাৎ বিনিময় নিয়ে ফেরত দিক।
সাহাবীগন বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সেচ্ছায়
তাদেরকে ফেরত দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কে কে অনুমতি
দিল আর কে কে অনুমতি দিল না, তা আমরা বুঝতে পারছি না। কাজেই তোমরা ফিরে যাও এবং তোমাদের নেতাগন তোমাদের মতামত
আমাদের নিকট পেশ করুক। সাহাবীগন ফিরে গেলেন। তাদের নেতা তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করলেন।
তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে জানালেন যে, সাহাবীগন সন্তুষ্টচিত্তে অনুমতি
দিয়েছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৬. যদি কোন ব্যক্তি কোন লোককে কিছু প্রদানের জন্য ওয়াকীল নিয়োগ করে, কিন্তু কত দিবে তা উল্লেখ
করেনি, তবে সে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী
দিবে।
২১৬০। মক্কী ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক সফরে নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলাম। আমি ধীরগতি সম্পন্ন উটের উপর সাওয়ার ছিলাম, যার ফলে উটটা দলের পেছনে পড়ে
গেল। এমনি অবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ দিয়ে গেলেন এবং বললেন, এ কে? আমি বললাম, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ। তিনি
বললেন, তোমার কি হল (পেছনে কেন)? আমি বললাম, আমি ধীরগতি সম্পন্ন উটে সাওয়ার
হয়েছি। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কোন লাঠি আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ আছে। তিনি বললেন, এটা আমাকে দাও। আমি তখন সেটা
তাঁকে দিলাম। তিনি উটটাকে চাবুক মেরে হাঁকালেন। এতে উটটা (দ্রুত চলে) সে স্থান থেকে
দলের অগ্রভাগে চলে গেল।
তিনি বললেন, এটা আমার কাছে বিক্রি করে
দাও। আমি বললাম, নিশ্চয়ই ইয়া রাসূলাল্লাহ এটা
আপনারই (অর্থাৎ বিনা মূল্যেই নিয়ে নিন)।
তিনি বললেন, (না) বরং এটা আমার কাছে বিক্রি
কর। তিনি বললেন, চার দ্বীনার মূল্যে আমি এটা
কিনে নিলাম। তবে মদিনা পর্যন্ত এর পিঠে তুমিই সাওয়ার থাকবে। আমরা যখন মদিনার নিকটবর্তী
হলাম, তখন আমি আমার বাড়ীর দিকে রওয়ানা
হলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন,
কোথায় যেতে চাচ্ছ? আমি বললাম, আমি একজন বিধবা মেয়েকে বিয়ে
করেছি। তিনি বললেন, কুমারী কেন বিয়ে করলে না? সে তোমার সাথে কৌতুক করত এবং
তুমি তার সাথে কৌতুক করতে?
আমি বললাম, আমার আব্বা মারা গাছেন এবং
কয়েকজন কন্যা রেখে গেছেন। আমি চাইলাম এমন একটা মেয়েকে বিয়ে করতে, যে হবে অভিজ্ঞতা সম্পন্না
এবং বিধবা। তিনি বললেন, তাহলে ঠিক আছে।
আমরা মদিনায় পৌঁছলে তিনি বললেন, হে বিলাল, জাবিরকে তার দাম দিয়ে দাও এবং কিছু বেশীও দিয়ে দিও। কাজেই বিলাল (রাঃ) তাকে চার
দ্বীনার এবং অতিরিক্ত এক কীরাত (সোনা) দিলেন। জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দেওয়া অতিরিক্ত এক কীরাত সোনা কখনো আমার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন
হত না। তাই তা জাবির (রাঃ)-এর থলেতে সব সময় থাকত, কখনো বিচ্ছিন্ন হত না।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৭. মহিলা কর্তৃক বিয়ের ব্যাপারে ইমামকে ওয়াকীল নিয়োগ করা।
২১৬১। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... সাহ্ল ইবনু সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমাকে আপনার প্রতি হেবা করে দিয়েছি। তখন
এক ব্যাক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একে আমার
সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিন। তিনি বললেন, কুরাআনের যে অংশটুকু তোমার মুখস্থ রয়েছে তার বিনিময়ে আমি এর সঙ্গে বিয়ে দিলাম।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৯. যদি ওয়াকীল কোন দ্রব্য এভাবে বিক্রি করে যে, তা বিক্রি শরীআতের দৃষ্টিতে
ফাসিদ, তবে তার বিক্রি গ্রহণযোগ্য
নয়
بَاب
إِذَا وَكَّلَ رَجُلًا فَتَرَكَ الْوَكِيلُ شَيْئًا فَأَجَازَهُ الْمُوَكِّلُ
فَهُوَ جَائِزٌ وَإِنْ أَقْرَضَهُ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى جَازَ
وَقَالَ
عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ أَبُو عَمْرٍو حَدَّثَنَا عَوْفٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ
سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ وَكَّلَنِي رَسُولُ
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ فَأَتَانِي
آتٍ فَجَعَلَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ وَقُلْتُ وَاللَّهِ
لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ
إِنِّي مُحْتَاجٌ وَعَلَيَّ عِيَالٌ وَلِي حَاجَةٌ شَدِيدَةٌ قَالَ فَخَلَّيْتُ
عَنْهُ فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا
أَبَا هُرَيْرَةَ مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ الْبَارِحَةَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ شَكَا حَاجَةً شَدِيدَةً وَعِيَالًا فَرَحِمْتُهُ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ
قَالَ أَمَا إِنَّهُ قَدْ كَذَبَكَ وَسَيَعُودُ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَعُودُ
لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُ سَيَعُودُ
فَرَصَدْتُهُ فَجَاءَ يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ
لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ
دَعْنِي فَإِنِّي مُحْتَاجٌ وَعَلَيَّ عِيَالٌ لَا أَعُودُ فَرَحِمْتُهُ
فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ قُلْتُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ شَكَا حَاجَةً شَدِيدَةً وَعِيَالًا فَرَحِمْتُهُ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ
قَالَ أَمَا إِنَّهُ قَدْ كَذَبَكَ وَسَيَعُودُ فَرَصَدْتُهُ الثَّالِثَةَ فَجَاءَ
يَحْثُو مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُولِ
اللَّهِ وَهَذَا آخِرُ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ أَنَّكَ تَزْعُمُ لَا تَعُودُ ثُمَّ تَعُودُ
قَالَ دَعْنِي أُعَلِّمْكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللَّهُ بِهَا قُلْتُ مَا هُوَ
قَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ اللَّهُ لَا
إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ حَتَّى تَخْتِمَ الْآيَةَ فَإِنَّكَ لَنْ
يَزَالَ عَلَيْكَ مِنْ اللَّهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرَبَنَّكَ شَيْطَانٌ حَتَّى
تُصْبِحَ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ الْبَارِحَةَ قُلْتُ يَا رَسُولَ
اللَّهِ زَعَمَ أَنَّهُ يُعَلِّمُنِي كَلِمَاتٍ يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهَا
فَخَلَّيْتُ سَبِيلَهُ قَالَ مَا هِيَ قُلْتُ قَالَ لِي إِذَا أَوَيْتَ إِلَى
فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ مِنْ أَوَّلِهَا حَتَّى تَخْتِمَ الْآيَةَ
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَقَالَ لِي لَنْ يَزَالَ
عَلَيْكَ مِنْ اللَّهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرَبَكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ
وَكَانُوا أَحْرَصَ شَيْءٍ عَلَى الْخَيْرِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَا إِنَّهُ قَدْ صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ تَعْلَمُ مَنْ
تُخَاطِبُ مُنْذُ ثَلَاثِ لَيَالٍ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ لَا قَالَ ذَاكَ
شَيْطَانٌ
১৪৩৮. পরিচ্ছেদঃ যদি কেউ কোন ব্যক্তিকে ওয়াকীল নিয়োগ করে, আর সে ওয়াকীল কোন কিছু ছেড়ে
দেয়, মুয়াক্কিল (ওয়াকীল নিয়োগকারী)
যদি তা অনুমোদন করে, তাহলে তা জায়িয এবং ওয়াকীল
যদি নির্দিষ্ট মিয়াদে কাউকে যখন প্রদান করে, তবে তা-ও জায়িয।
উসমান ইব্ন হায়সাম (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে রমযানের যাকাত হিফাযত করার দায়িত্বে নিযুক্ত করলেন। এক ব্যক্তি
এসে আঞ্জলি ভর্তি করে খাদ্যসামগ্রী নিতে লাগল। আমি তাকে পাকড়াও করলাম এবং বললাম, আল্লাহ্র কসম, আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত করব। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। আমি খুবই
অভাবগ্রস্ত, আমার যিম্মায় পরিবারের দায়িত্ব
রয়েছে এবং আমার প্রয়োজন তীব্র। তিনি বললেন, আমি ছেড়ে দিলাম। যখন সকাল হলো, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবূ হুরায়রা, তোমার রাতের বন্দী কি করল? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, সে তার তীব্র অভাব ও পরিবার, পরিজনের কথা বলায় তার প্রতি
আমার দয়া হয়, তাই তাকে আমি ছেড়ে দিয়েছি।
তিনি বললেন, সাবধান! সে তোমার কাছে মিথ্যা
বলেছে এবং সে আবার আসবে। ‘সে আবার আসবে’ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর উক্তির কারণে আমি বুঝতে পারলাম যে, সে পুনরায় আসবে। কাজেই আমি তার অপেক্ষায় থাকলাম। সে এল এবং অঞ্জলি
ভরে খাদ্যসামগ্রী নিতে লাগল। আমি ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে যাব। সে বলল, আমাকে ছেড়ে দিন। কেননা, আমি খুবই দরিদ্র এবং আমার
উপর পরিবার-পরিজনের দায়িত্ব ন্যস্ত, আমি আর আসবো না। তার প্রতি আমার দয়া হলো, এবং আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।
সকাল হলে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবূ হুরায়রা, তোমার রাতের বন্দী কি করল? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, সে তার তীব্র প্রয়োজন এবং
পরিবার- পরিজনের কথা বলায় তার প্রতি আমার দয়া হয়। তাই তাকে আমি ছেড়ে দিয়েছি। তিনি বললেন, খবরদার। সে তোমার কাছে মিথ্যা
বলেছে এবং সে আবার আসবে। তাই আমি তৃতীয়বার তার অপেক্ষায় রইলাম। সে আবার আসল এবং অঞ্জলি
ভর্তি করে খাদ্য সামগ্রী নিতে লাগল। আমি তাকে পাকড়াও করলাম এবং বললাম, আমি তোমাকে রাসূলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে অবশ্যই নিয়ে যাব। এ হল তিন বারের শেষ বার।
তুমি প্রত্যেকবার বলো যে আর আসবে না, কিন্তু আবার আস। সে বলল আমাকে ছেড়ে দিন। আমি তোমাকে কয়েকটি কথা
শিখিয়ে দেব। যা দিয়ে আল্লাহ্ তোমাকে উপকৃত করবেন। আমি বললাম সেটা কি? সে বলল, যখন তুমি রাতে শয্যায় যাবে
তখন আয়াতুল কুরসী اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ আয়াতের শেষ পর্যন্ত পড়বে।
তখন আল্লাহ্র তরফ থেকে তোমার জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত হবে এবং ভোর পর্যন্ত শয়তান তোমার
কাছে আসতে পারবে না। কাজেই তাকে আমি ছেড়ে দিলাম।
ভোর হলে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, গত রাতে তোমার বন্দী কি বলল? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সে আমাকে
বলল, যে সে আমাকে কয়েকটি বাক্য
শিক্ষা দেবে যা দিয়ে আল্লাহ্ আমাকে লাভবান করবেন। তাই আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। তিনি
আমাকে বললেন, এই বাক্যগুলো কি? আমি বললাম, সে আমাকে বলল, যখন তুমি রাতে শয্যায় যাবে
তখন আয়াতুল কুরসী اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ প্রথম থেকে আয়াতের শেষ পর্যন্ত
পড়বে এবং সে আমাকে বলল, এতে আল্লাহ্র তরফ থেকে তোমার
জন্য একজন রক্ষক নিযুক্ত থাকবেন এবং ভোর পর্যন্ত তোমার নিকট কোন শয়তান আসতে পারবে না।
সাহাবায়ে কিরাম কল্যাণের জন্য বিশেষ লালায়িত ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন, হ্যাঁ এ কথাটি তো সে তোমাকে
সত্য বলেছে। কিন্তু হুশিয়ার, সে মিথ্যুক। হে আবূ হুরায়রা, তুমি কি জান, তিন রাত ধরে তুমি কার সাথে
কথাবার্তা বলেছিলে? আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেন, না। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন,
সে ছিল শয়তান।
________________________________________
২১৬২। ইসহাক (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ) কিছু বরনী খেজুর
(উন্নত মানের খেজুর) নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আসেন। নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, এগুলো কোথায় পেলে? বিলাল (রাঃ) বললেন, আমাদের কাছে কিছু নিকৃষ্ট
মানের খেজুর ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে তা দু’সা
বিনিময়ে এক সা কিনেছি। এ কথা শুনে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হায়! হায়! এটাতো একেবারে সূদ!
এটাতো একেবারে সূদ! এরূপ করো না। যখন তুমি উৎকৃষ্ট খেজুর কিনতে চাও, তখন নিকৃষ্ট খেজুর ভিন্নভাবে
বিক্রি করে দাও। তারপর সেই মূল্যের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট খেজুর কিনে নাও।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৪০. ওয়াক্ফকৃত সম্পদে ওয়াকীল নিয়োগ, ও তার ব্যয়ভার বহন এবং তার
বন্ধু- বান্ধবকে খাওয়ানো,
আর নিজেও শরী’আত সম্মতভাবে
খাওয়া।
২১৬৩। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাঃ) এর সাদকা সম্পর্কিত
লিপিতে ছিল যে, মুতাওয়াল্লী নিজে ভোগ করলে
এবং তার বন্ধু-বান্ধবকে আপ্যায়ন করালে কোন গুনাহ নেই; যদি মাল সঞ্চয় করার উদ্দেশ্যে
না থাকে। ইবনু উমর (রাঃ),
উমর (রাঃ) এর সাদকার
মুতাওয়াল্লী ছিলেন। তিনি যখন মক্কাবাসী লোকদের নিকট অবতরন করতেন, তখন তাদেরকে সেখান থেকে উপঢৌকন
দিতেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৪১. (শরীআত নির্ধারিত) দণ্ড প্রয়োগের জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
২১৬৪। আবূল ওয়ালিদ (রহঃ) ... যায়দ ইবনু খালিদ ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে উনাইস (ইবনু যিহাক আসলামী) সে মহিলার কাছে যাও। যদি সে (অপরাধ) স্বীকার করে
তবে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৪১. (শরীআত নির্ধারিত) দণ্ড প্রয়োগের জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
২১৬৫। ইবনু সালাম (রহঃ) ... উকবা ইবনু হারিছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নুআইমানকে অথবা
ইবনু নুআইমানকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আনা হল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ঘরে উপস্থিত লোকদেরকে তাকে প্রহার করতে আদেশ দিলেন। রাবী বলেন, যারা তাকে প্রহার করেছিলো, তাদের মধ্যে আমিও ছিলাম। আমরা
তাকে জুতা দিয়ে এবং খেজুরের ডাল দিয়ে প্রহার করেছি।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৪২. কুরবানীর উট ও তার দেখাশোনার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
২১৬৬। ইসমাঈল ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আমরা বিন্ত আব্দুর রাহমান (রাঃ) থেকে
বর্ণিত যে, ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি নিজ হাতে রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরবানীর জন্তুর জন্য হার পাকিয়েছি। তারপর রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে তাকে হার পরিয়ে (আমার পিতা) আবূ বকর (রাঃ)
এর সঙ্গে পাঠিয়েছেন। কুরবানীর জন্তু যবেহ্ করার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এর উপর কোনো কিছু হারাম থাকেনি, যা আল্লাহ তাঁর জন্য হালাল করেছেন।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৪৩. যখন কোন লোক তার ওয়াকীলকে বলল, এ মাল আপনি যেখানে ভালো মনে করেন, খরচ করুন, এবং ওয়াকীল বলল, আপনি যা বলেছেন, তা আমি শুনেছি।
২১৬৭। ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, মদিনায় আনসারদের মধ্যে আবূ
তালহাই সবচেয়ে বেশী ধনী ছিলেন এবং তাঁর সম্পদের মধ্যে বায়রুহা তাঁর সবচাইতে প্রিয় সম্পদ
ছিল, এটা মসজিদের (নববীর) সম্মুখে
অবস্থিত ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তথায় যেতেন এবং এতে যে উৎকৃষ্ট পানি ছিল তা পান করতেন। যখন
এ আয়াত নাযিল হলঃ "তোমরা যা ভালোবাসো, তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবেনা।"
(৩ঃ ৯২)।
তখন আবূ তালহা (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে এসে দাঁড়ালেন
এবং বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ তাঁর
কিতাবে বলেছেনঃ তোমরা যা ভালোবাসো, তা থেকে যে পর্যন্ত দান না করবে, সে পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত পুণ্য
লাভ করবে না। আর আমার সম্পদের মধ্যে বায়রুহা আমার নিকট সব চাইতে প্রিয় সম্পদ। আমি ওটা
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করে দিলাম। এর সাওয়াব ও প্রতিদান আমি আল্লাহর নিকট প্রত্যাশা
করছি। কাজেই ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনি ওটাকে যেখানে ভালো মনে করেন, খরচ করেন।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বেশ। এটাতো চলে যাবার মত সম্পদ, এটাতো চলে যাবার মত সম্পদ।
তুমি এ ব্যাপারে যা বললে,
আমি তা শুনলাম এবং
আমি এটাই সঙ্গত মনে করি যে,
এটা তুমি তোমার আত্মীয়-স্বজনদের
মধ্যে বণ্টন করে দিবে। আবূ তালহা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তাই করবো। তারপর আবূ তালহা (রাঃ) তার নিকটাত্মীয়
ও চাচাতো ভাইদের মধ্যে তা বণ্টন করে দিলেন।
ইসমাঈল (রহঃ) মালিক (রহঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহইয়া (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।
রাওহ্ মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, এতে তিনি ‘রায়িহুন’ স্থলে ‘রাবিহুন’ বলেছেন। এর অর্থ হল, লাভজনক।
পরিচ্ছেদঃ ১৪৩৪. ঋণ পরিশোধ করার জন্য ওয়াকীল নিয়োগ
২১৬৮। মুহাম্মদ ইবনু ‘আলা (রহঃ) ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিশ্বস্ত কোষাধ্যক্ষ যে ঠিক
মত ব্যয় করে, অনেক সময় বলেছেন, যাকে দান করতে বলা হয় তাকে
তা পরিপূর্ণভাবে সন্তুষ্টচিত্তে দিয়ে দেয়। সেও (কোষাধ্যক্ষ) দানকারীদের একজন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷